RSS

Category Archives: কম্পিউটার ও বিজ্ঞান

পৃথিবীতে মহাকাশের সৌরশক্তি!

মহাকাশ থেকেই সৌরশক্তি সংগ্রহ করে মাইক্রোওয়েভে রুপান্তর করে সেটি পৃথিবীতে ব্যবহার করা যাবে। জাপানি অ্যারোস্পেস এক্সপেস্নারেশন এজেন্সি, মিতসুবিসি ইলেকট্রিক করপোরেশন এবং কিয়েটো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই সৌরশক্তির উৎপাদন গবেষণায় একত্রে কাজ করছেন। গবেষকদের বরাতে জানা গেছে, কিয়োটো ইউনিভার্সিটিতে গবেষকরা নতুন এই পদ্ধতিতে সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদু্যৎ উৎপাদন করবেন। গবেষণা সফল হলে মহাশূন্যে পাঠানো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিদু্যৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। উলেস্নখ্য, ২০১৬ সালে এই স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। গবেষকরা জানান, এই পদ্ধতিতে বিদু্যৎ উৎপাদন করা গেলে তা ব্যবহূত সৌরপ্যানের চেয়ে ১০গুণ বেশি কার্যকর হবে।

 

স্বাস্থ্যখাতে থ্রিজি টেকনোলজি

 

ডা. ফেরদৌস আরা একজন অল্প বয়সী সফল গাইনি সার্জন। বর্তমানে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আছেন। সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেডিকেল কলেজ ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস, হাসপাতালের রোগী, অপারেশন ও বিকালে প্রাইভেট চেম্বার—সর্বোপরি সংসারের ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। প্রতিদিন সকালে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার পথে নিজের গাড়িতে বসেই অথবা অবসর সময়ে নিজস্ব ল্যাপটপ ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করে থাকেন। অল্প বয়সী এ সার্জন শহরে বসবাসরত খুব অল্পসংখ্যক রোগীকে চিকিত্সাসেবা প্রদান করতে পারেন। অনেক চিকিত্সক ছুটির দিনে ঢাকার বাইরে গিয়ে চিকিত্সাসেবা প্রদান করলে ডা. হোসনে আরার পক্ষে তা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। কারণ তার সময়ের স্বল্পতা ও শহর থেকে দূরে বলে।
ডা. ফেরদৌস আরার অল্প বয়সে যথেষ্ট খ্যাতি ও অর্থ উপার্জনের সক্ষমতা থাকলেও একটি চাপা কষ্ট তাকে বারবার পীড়া দেয়। কবে আসবে সেদিন, যেদিন আধুনিক ডিজিটাল চিকিত্সা ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামে ফেলে আসা চাচি, মামী, বোন, মা’দের এবং গ্রামের সেই কৃষক ভাইদের—যাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা পরিশ্রমের অর্থেই হোসনে আরার মতো হাজারও গাইনি, মেডিসিন, আই, নেফ্রোলজি ও রেডিওলজিসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এ দেশে তৈরি হয়েছে।
স্বাস্থ্যখাতে থ্রিজি বা থার্ড জেনারেশন টেকনোলজি চিকিত্সক ফেরদৌস আরার এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে। তৃতীয় বিশ্বের দারিদ্র্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের মতো একটি দেশে সরকারের একার পক্ষে গ্রামে বসবাররত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে উন্নত চিকিত্সাব্যবস্থা এই স্বল্পসংখ্যক চিকিত্সকের মাধ্যমে পৌঁছানো সম্ভব নয়। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোয়ও ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে এদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে আধুনিক চিকিত্সাসেবা পৌঁছে দেয়া।
গত ১০ বছরে আমাদের এই নদীমাতৃক দেশে রাস্তা-ঘাট, ট্রেন ও প্লেন যোগাযোগ ব্যবস্থা যতটা উন্নত হয়নি, তার চেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। এই টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে ৩-এ টেকনোলজির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতকে ডিজিটাল করা যেতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমনকি ভারত ও নেপালে থ্রিডি টেকনোলজির মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতকে ডিজিটাল করার পরিকল্পনা চলছে। যেহেতু বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতাল মেশিনারি যেমন এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, আলট্রাসনোগ্রামসহ অনেক ল্যাবরেটরির মেশিন কম্পিউটার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং ডাটা সরাসরি সার্ভারে সংরক্ষণ করা যায় সেহেতু বর্তমান সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালগুলো যদি এখনই আধুনিক ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় না আনা হয় তবে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত হুমকির সম্মুখীন হবে এবং আধুনিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা থেকে পিছিয়ে পড়বে। তাই এখনই স্বাস্থ্যখাতে সঠিক ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা করতে হবে।
কী এই থ্রিজি টেকনোলজি
থ্রিজি টেকনোলজি এমন একটি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে ছবি ও কথা একই সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে অত্যন্ত অল্প খরচে অন্য জায়গায় পাঠানো সম্ভব। থ্রিজি টেকনোলজি ব্যবহারের জন্য একটি থিজি পড়সঢ়ধঃরনষব গড়নরষব ও Laptop প্রয়োজন হতে পারে। এই টেকনোলজি ব্যবহার করে সিটি স্ক্যান, আইআরআই, আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন ল্যাবরেটরি টেস্ট রিপোর্ট চিকিত্সকরা সরাসরি কোনো মেশিন থেকে কম্পিউটার সার্ভারের মাধ্যমে নিজস্ব ল্যাপটপে সংরক্ষণের মাধ্যমে দূরের কোনো রোগীকে চিকিত্সা প্রদান করতে পারবেন। এই টেকনোলজি ব্যবহার করে টেলিমেডিসিন ও কম্পিউটারাইজড হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে আরও গতিশীল করা যেতে পারে, যা ভবিষ্যত্ স্বাস্থ্যখাতকে করতে পারে অধিকতর উন্নত।

ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের অসুবিধাগুলো
বাংলাদেশের ডিজিটাল স্বাস্থ্যব্যবস্থা একটি নতুন ক্ষেত্র। এই ক্ষেত্রে কাজ করতে গেলে নিম্নলিখিত অসুবিধা দেখা যায়—

১. ডিজিটাল স্বাস্থ্য সিস্টেমকে উন্নয়ন, কার্যকর প্রয়োজনীয় কম্পিউটার বিশেষজ্ঞের অভাব। ব্যাংক ও টেলিযোগাযোগ খাতে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞদের যথেষ্ট মূল্যায়ন করা হলেও স্বাস্থ্যখাতে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞদের তেমন মূল্যায়ন করা হয় না। তাই মেধাবী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা এই ব্যবস্থায় আসতে চায় না।
২. অধিকাংশ হাসপাতালগুলোয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ডাক্তার হওয়ায় হাসপাতাল কম্পিউটারাইজড সিস্টেমের ওপর অভিজ্ঞতা না থাকায় ওই সিস্টেমটি হাসপাতালে কার্যকর করতে চায় না। তবে অনেক তরুণ ডাক্তার স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটাল সিস্টেম করা সময়ের দাবি বলে মনে করেন।
৩. সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকে এই সিস্টেম চালু করার জন্য যথেষ্ট আন্তরিক হতে হবে। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে একটি করে কম্পিউটার ইউনিট করা যেতে পারে।
৪. সাধারণত রোগীরা সরাসরি ডাক্তারের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র গ্রহণে অভ্যস্ত। ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে রোগীদের চিকিত্সা গ্রহণের সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. কম্পিউটারাইজড হাসপাতাল সিস্টেমের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কোর্স চালু করা যেতে পারে।
৬. মেডিকেলে শেষ বর্ষে ইন্টার্নি করার সময় অন্যান্য ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি কম্পিউটারের ওপর বিশেষ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
৭. কোনো একটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল তৈরির আগে এখাতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থবরাদ্দ থাকতে হবে এবং আর্কিটেকচারাল ডিজাইনে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৮. প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় কম্পিউটারাইজড হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করার পর ওই সিস্টেমগুলোকে একটি কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্কের আওতায় আনা যেতে পারে।

 

নিজের প্রয়োজনে গুগল সার্চ

যে কোনো তথ্য-উপাত্ত বা সাহায্য-সহযোগিতা, সবকিছুতেই গুগল আপনাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এক কথায় যদি কাউকে একটা প্লাটফর্ম ভাবা যায়, তবে এখন পর্যন্ত গুগল সেই ভূমিকায় সর্বসেরা। কী নেই তাদের সেবায়, সর্বশ্রেষ্ঠ সার্চ ইঞ্জিন, সিউকিউরড মেইল সার্ভিস, ইউটিউব ভিডিও, ওয়ার্ল্ডওয়াইড গুগল ম্যাপ, অরকুট, বাজ, ব্লগারসসহ আরও অনেক অনেক উপকারী সেবা।

গুগলকে ব্যবহার করে কীভাবে যেকোন তথ্য বের করে আনা যায়, সেটা গুগলের থেকেই হোক বা অন্য কোনো সাইট থেকেই হোক। আবহাওয়া
গুগলের মাধ্যমে যেকোনো শহরের আবহাওয়া জানতে ‘weather’ লিখে স্পেস দিয়ে শহরের নাম এবং অতঃপর দেশের কোড নেম লিখতে পারেন। যেমন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে weatherdhaka,bd লিখে সার্চ দিন। পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত আবহাওয়ার সংবাদ।

সময়
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের এখন সময় জানতে আপনি দেখতে পারেন গুগলের টাইম সার্চ ফিচারটি। এক্ষেত্রে আপনাকে টাইপ করতে হবে ‘time’ এবং শহরের নাম বা দেশের নাম। যেমন : ime uae লিখে সার্চ দিলে আপনি বাংলাদেশের সময় থেকে ২ ঘণ্টা সময় পেছনে পাবেন এবং সময় অবশ্যই ২৪ ঘণ্টা ফরমেটে পাবেন।

সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত
বিভিন্ন দেশের বা শহরের সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয় জানতে টাইপ করুন ‘sunrise’ অথবা ‘sunset’, তারপর শহরের নাম লিখুন। সার্চ দিন আপনার সামনে হাজির হয়ে যাবে সঙ্গে সঙ্গে। এর সঙ্গে আরও জানবেন সেই সময় থেকে আপনার আর কত সময় হাতে আছে।

পরিমাপের পরিবর্তন
আপনি চাইলে গুগলের কনভার্টারকে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ধরুন আপনাকে ইঞ্চি থেকে সেন্টিমিটারে কনভার্ট করতে হলে আপনাকে লিখতে হবে ১ রহপয রহ পস, যেখানে আপনি ১ ইঞ্চিকে সেন্টিতে পরিণত করার জন্য বুঝিয়েছেন। তাহলে গুগলই আপনাকে মুহূর্তের মধ্যে জানিয়ে দেবে যে, ২.৫৪ সেন্টিতে ১ ইঞ্চি। এছাড়াও আপনি যেকোন পরিমাপের কনভার্ট করতে গুগলকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন।

জনসাধারণের তথ্য
জনসংখ্যা থেকে শুরু করে যেকোন হালনাগাদকৃত তথ্য পেতে গুগল আরও এক ধাপ এগিয়ে। যেমন আপনি এখন বাংলাদেশের সর্বশেষ গণনাকৃত জনসংখ্যা জানতে চাইছেন, শুধু ‘population’ লিখে দেশের নাম বাংলাদেশ লিখুন সার্চ বক্সে এবং এন্টার চাপুন সঙ্গে সঙ্গেই পেয়ে যাবেন প্রায় ১৬ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন, যা ২০০৯ সালে গণনা করা হয়েছিল। এছাড়াও জানতে পারেন বেকার জনসংখ্যা ও তা জানতে পারেন ‘nemployment rate’ তারপর দেশের নাম লিখে।

হারানো মানুষকে খুঁজুন
আপনার ছোট বেলার কোন বন্ধুকে খুঁজে পেলেও পেতে পারেন এই গুগলের মাধ্যমে। যেমন কোনো নাম লিখে সার্চ দিলে একটা লিস্ট আসবে। এভাবে প্রোফাইল ইনফো পেয়েও যেতে পারেন।

একই বিভাগের অন্যান্য সাইট
‘related:’ লিখে আপনি যেই সাইটের মতো আরও সাইট খুঁজছেন, তা লিখে সার্চবক্সে গিয়ে এন্টার দিন। যেমন related:amardeshonline.com লিখে সার্চ দিলে টিটির মতো আরও একই টাইপের সাইটগুলোকে পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও যেকোন তথ্য খুঁজে পেতে পারেন আপনার বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে।

 

পিসি কেনার আগে

অনেকেরই হয়তো এখনও পিসি কেনা হয়নি, কিন্তু ভাবছেন একটি নতুন পিসি

কিনবেন। পিসি কেনা নিয়ে পড়েছেন এক নতুন চিন্তায়। কী ধরনের পিসি কিনবেন,
ব্র্যান্ড না ক্লোন? এ বিষয়ে প্রতিবেদন লিখেছেন—আহসান হাবিব 

বাজেট : সর্বপ্রথম আপনাকে বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। প্রত্যেকেরই কমবেশি বাজেট থাকে। সুতরাং আপনিও এর ব্যতিক্রম নন। এমনও হতে পারে আপনার বাজেট ৩০ হাজার টাকা কিন্তু পিসি কেনার সময় দেখা যাচ্ছে আপনাকে আরও অতিরিক্ত ৪/৫ হাজার টাকা যোগ করতে হচ্ছে। ব্র্যান্ড পিসি কিনলে বাজেট অবশ্যই একটু বেশি থাকতে হবে।
পিসির গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসগুলো এবং গাইডলাইন : পিসি ব্র্যান্ড বা ক্লোন, লো-কোয়ালিটি বা হাই-কোয়ালিটি যাই কিনুন না কেন, আপনার পিসির যন্ত্রাংশ/ডিভাইসগুলো সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকলে খুব উপকারে আসবে।
প্রসেসর : প্রসেসর হচ্ছে কম্পিউটারের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক। প্রসেসর কেনার আগে আপনাকে সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে আপনাকে প্রসেসর পরিবর্তন নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। কেনার সময় দেখে নিন প্রসেসরটি কোন দেশের তৈরি, কুলিং ফ্যান সুবিধা ইত্যাদি। বাজারে সাধারণত ইন্টেল, এএমডি প্রভৃতি প্রসেসর পাওয়া যায়।
মাদারবোর্ড : মাদারবোর্ড কেনার সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে চিপসেট এবং ব্র্যান্ডের ওপর। তাছাড়া বাস স্পিড, র্যাম স্লট, বিভিন্ন পোর্ট যেমন—ইউএসবি, পিএসটু ইত্যাদি। কম্পিউটার বাজারগুলোয় প্রসেসর এবং মাদারবোর্ডের সমন্বিত প্যাকেজ পাওয়া যাচ্ছে।
হার্ডডিস্ক : হার্ডডিস্কে সব ডেটা এবং প্রোগ্রাম সংরক্ষিত থাকে। হার্ডডিস্কের পারফরমেন্স নির্ভর করে এর স্পিডের ওপর। হার্ডডিস্কের স্পিড পরিমাপ করা হয় জচগ (Rotation Per Minute) দ্বারা।
র্যাম : কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি ডিভাইস। ডেটা হার্ডডিস্কে স্থায়ীভাবে রাখার আগ পর্যন্ত র্যামেই অবস্থান করে। আপনি যত বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন আপনাকে তত বেশি র্যাম ব্যবহার করতে হবে। র্যামের অন্যতম প্রধান বিষয় হচ্ছে এর বাস স্পিড, যা মাদারবোর্ডের সঙ্গে মিল রেখে কিনতে হয়।
সিডিরম ড্রাইভ : সফটওয়্যার, গান প্রভৃতি এখন সিডিতে পাওয়া যায়। তাই সিডিরম ড্রাইভ খুব অত্যাবশ্যকীয় একটি ডিভাইস, যা ছাড়া পিসির পূর্ণতা আসবে না।
সিডি রাইটার : আপনি যদি সিডিতে প্রচুর ব্যাকআপ রাখার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনার উচিত হবে সিডি রাইটার ব্যবহার করা। সিডি রাইটার থাকলে আপনি অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে যাদের একান্তই প্রয়োজন শুধু তারাই এটা ব্যবহার করবেন, অযথা সিডি রাইটার না কেনাই ভালো।
ডিভিডি রম ড্রাইভ : আপনার পিসিতে যদি ডিভিডি দেখতে চান তাহলে ডিভিডি রম ড্রাইভ প্রয়োজন। আজকাল ডিভিডি রমের চাহিদাই বেশি। আবার প্রয়োজন হলে ডিভিডি রাইটারও ব্যবহার করতে পারেন।
মনিটর : মনিটর কম্পিউটারের প্রধান আউটপুট ডিভাইস। আমরা যা কিছু ইনপুট দেই না কেন, তা আমরা মনিটরের মাধ্যমে দেখতে পাই। মনিটর কেনার সময় কালার পারফরমেন্স, ভিউ, ব্রাইটনেস বা রেজ্যুলেশন দেখে নিন। আর অবশ্যই ওয়ারেন্টির বিষয়টি মাথায় রাখবেন।
গ্রাফিক্স কার্ড : গ্রাফিক্স কার্ডের কাজ হলো প্রসেসকৃত সব ডেটার আউটপুট ডিসপ্লেতে পাঠিয়ে দেয়া। আমরা মনিটরে যা কিছু দেখতে পাই তা গ্রাফিক্স বা এজিপি কার্ডের কল্যাণে। গ্রাফিক্স কার্ড বর্তমানে মাদারবোর্ডের সঙ্গে বিল্ট-ইন পাওয়া যায়। তবে যদি আপনি থ্রিডি, হাই-কোয়ালিটি গেমস ও গ্রাফিক্সের কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে ভালো মানের ও ভালো চিপসেটের গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করতে হবে।
সাউন্ড কার্ড : বর্তমানে মাদারবোর্ডের সঙ্গেই সাউন্ড কার্ড বিল্ট-ইন থাকে। খুব ভালো পারফরমেন্স পেতে হলে আপনাকে সাউন্ড কার্ড কিনতে হবে। সাউন্ড কার্ড কেনার সময় চিপসেটটি ভালো কোম্পানির কিনা দেখে নিন।
স্পিকার : যারা গান পছন্দ করেন, স্পিকার তাদের জন্য বাধ্যতামূলক। স্পিকারের মাধ্যমেই আপনি যে কোনো শব্দ শুনতে পারেন। তবে স্পিকার কেনার আগে একটু ভালোভাবে দেখেশুনে কিনবেন এবং স্পিকার ও সাউন্ড কার্ডের সঙ্গে যেন সামঞ্জস্য থাকে।
প্রিন্টার : প্রিন্টার অন্যতম একটি আউটপুট ডিভাইস। প্রিন্টার খুবই প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্রাংশ, যার মাধ্যমে আমরা পিসিতে করা কাজগুলোকে প্রিন্ট দিতে সক্ষম হই। জেট প্রিন্টার দামে একটু সস্তা এবং লেজার প্রিন্টার দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া প্রিন্টার ব্ল্যাক হোয়াইট এবং কালার দু’ধরনেরই সব স্থানে পাওয়া যায়।
সফটওয়্যার : পিসির জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম একটি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। উইন্ডোজ বা লিনাক্স যে কোনোটিই আপনি ব্যবহার করতে পারেন। আপনার অতি শখের পিসি, যাতে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে পারে সেজন্য ব্যবহার করতে হবে এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার। এরপর আপনি যত ইচ্ছা আপনার চাহিদা অনুযায়ী প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
অন্যান্য : কিবোর্ড, মাউস ছাড়াও পিসিতে ব্যবহারযোগ্য আরও বহুবিধ ডিভাইস ও আইটি পণ্য রয়েছে, যা আপনি ইচ্ছা করলেই ব্যবহার করতে পারেন। যেমন—পেনড্রাইভ, ওয়েবক্যাম, ইউপিএস, স্ক্যানার, স্ট্যাবিলাইজার, ফ্যাক্স মডেম, টিভি কার্ড প্রভৃতি।

 

বিশ্বের প্রথম বিদু্যৎ চালিত বাস

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া ‘গ্রিন কার-ম্মার্ট সিটি’_এই সেস্নাগানকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বৈদু্যতিক বাস সার্ভিস চালু করেছে। ১১.০৫ মিটার দীর্ঘ এই বাসে একবার চার্জ দিলে টানা ৮৩ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা যেতে পারবে। এই বৈদু্যতিক বাস ব্রেকের ব্যবহার করে বৈদু্যতিক শক্তির পুনর্ব্যবহার করতে পারবে। বাসগুলো ওজনে হালকা এবং দেখতে অনেকটা বাদামাকৃতির। প্রতিবন্ধীদের জন্য এই বাসে বিশেষ সুবিধা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে সিউলে মোট ৫টি বাস চালু করা হয়েছে এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৮টি করা হবে। আর ২০২০ সাল নাগাদ দক্ষিণ কোরিয়ায় এ ধরনের বৈদু্যতিক গাড়ির সংখ্যা দাঁড়াবে এক লক্ষ বিশ হাজারে। উলেস্নখ্য, সিউল মেট্রোপলিটন গভার্নমেন্ট ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই বৈদু্যতিক বাস সার্ভিস চালু করেছে। এই বৈদু্যতিক বাস চলবে দক্ষিণ কোরিয়ার মাউন্ট নামসান সাকর্ুলার ওয়েতে।

 

চলমান ফোনটির যত্ন নিন


প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগের জন্য রয়েছে নানা মাধ্যম।প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগের জন্য রয়েছে নানা মাধ্যম। তবে আপনাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় এ সব মাধ্যমের মধ্যে কোনটি অত্যাধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন, তাহলে আপনি চোখ বন্ধ করে বলে উঠবেন চলমান ফোন (মোবাইল)। প্রয়োজনীয় এই জিনিসটি অনেকদিন ধরে সচল রাখতে যত্নের কোন বিকল্প নেই। দক্ষ হাতে যত্ন করলে আপনার সেটটি শুধু সচলই নয়, নজর কাড়া থাকবে অনেকদিন ধরে। যে জিনিসটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে দিচ্ছে বন্ধু সুলভ সুবিধা, তার নাম চলমান ফোন বা মোবাইল ফোন। এদেশে প্রথম যখন মোবাইল ফোনের প্রচলন হয়, তখন শহরে গুটি কয়েক মানুষের হাতে দেখা যেত কেবল। তাও উচ্চবিত্ত ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা স্থানীয় লোকজনের হাতে। নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে হোক কিংবা ব্যয় বহুলতার জন্যই হোক, গ্রামের পর গ্রাম ঘুরেও কোন মোবাইলের সন্ধান মিলতো না। কিন্তু এখন শহরে সবার হাতে হাতে তো বটেই, এমনকি নিভৃত গ্রামেও প্রায় সবার হাতে শোভা পায় চলমান ফোন (মোবাইল) । তরুণ-তরুণীদের কাছে চলমান ফোন (মোবাইল) শুধু প্রয়োজনীয়ই নয়, বিশেষ ফ্যাশনও বটে। যে কোনো প্রয়োজনীয় জিনিসেরই সঠিক যত্ন না নিলে তা অনেকদিন ধরে সচল থাকে না। বিশেষ করে কল-কব্জার জিনিস। এ দৃষ্টিকোণ থেকে মোবাইলের সঠিক যত্ন নেয়া অতি জরুরী। সে যত্নের ধরণ কেমন হবে, তা হয়তো অনেকেই জানেন। তবে যারা জানেন না, কিংবা জেনেও প্রয়োগ করতে চান না,তাদের জন্য মোবাইলের যত্ন নেয়ার কিছু পদ্ধতি তুলে ধরা হলো-

১। চলমান ফোন (মোবাইল) ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি কমন ব্যাপার হলো চার্জ দেয়া। আপনার সেটে চার্জ যখন ২৫% অবশিষ্ট থাকবে, তখনই উচিত হবে নতুন করে চার্জ দেয়া। তবে চার্জ না ফুরালেও ঘন ঘন চার্জ দিলে কিংবা মোবাইলের ব্যাটারীর ভোল্টের চেয়ে অধিক ভোল্ট সম্পন্ন চার্জার দিয়ে চার্জ দিলে সেটের ক্ষতি হওয়ার আশংকা আছে। এছাড়া যখন চার্জ দেয়া হবে, তখন আংশিক চার্জ না দিয়ে ব্যাটারী ফুল করে চার্জ দেয়া উচিত। 

২। আপনি অসতর্ক হলে তো কোন কথা-ই নেই, সতর্ক হলেও কখনো কখনো আপনার সেটটি হাত ফসকে পড়ে যেতে পারে মাটিতে কিংবা পাকা ফ্লোরে। তাই সময় থাকতেই সাবধান হওয়া উচিত। বাজারে এখন নানা রকমের কাভার পাওয়া যায়। আপনি যদি সেসব কাভার থেকে পছন্দসই কোন কাভার এনে ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার সেটটি অসতর্ক মহূর্তে হাত থেকে পড়ে গেলেও খুব একটা ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা নেই।

৩। এ কথা সত্যি যে, কাভারের মধ্যে বন্দী করা হলে সেটের সৌন্দর্য কিছুটা হলেও হ্রাস পায়। তবে যখনই আপনিসেটটি কাভার মুক্ত করবেন, তখনই এর মধ্যে পরিলক্ষিত হবে নতুনের মতো চাকচিক্য। বিশেষ করে খুব পুরনো সেটে দেখা যায় কী-এর নাম্বার মুছে গেছে আঙ্গুলের চাপ কিংবা ঘষার ফলে। কাভার ব্যবহার করলে এ সমস্যাটি কখনো হবে না। 

৪। আপনি যখন আপনার টাইট জিন্সের প্যান্টের পকেটে মোবাইল সেটটি রাখবেন, তখন আপনার উচিত হবে লক করে রাখা। নইলে যে কোনো সময় চাপ লেগে অহেতুক কোন নাম্বারে কল হয়ে আপনার টাকা কাটা যেতে পারে।

৫। আপনি যদি কোনোভাবেই কাভার ব্যবহার করতে না চান, তাহলে আপনার উচিত হবে টাইট প্যান্টের পকেটে সেট না রাখা। রাখলে ঘষা লেগে লেগে সেটের সৌন্দর্য বর্ধনকারী রং এবং নকশা উঠে যেতে পারে।

৬। আপনি যখন পাবলিক বাসে যাতায়াত করবেন, কিংবা মিটিং মিছিলের ভীড়ের মধ্যে অবস্থান করবেন, তখন ঢিলে-ঢালা প্যান্টের পকেটে সেট রাখলে চুরি হয়ে যাবার আশংকা রয়েছে। এ সময় সেটটি হাতে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

৭। কী-এর ফাঁকে ফাঁকে ধুলো-ময়লা জমে নষ্ট হতে পারে আপনার সেটটির সৌন্দর্য। এ ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে এমন স্থানে সেট না রাখা, যেখানে ধুলো বালির আধিক্য রয়েছে। তবে ময়লা যদি জমেই যায়, তাহলে কী এর ফাঁক ফোকরের ময়লা পরিষ্কারে উত্তম উপায় হলো পরিচ্ছন্ন একটি ব্রাশ ব্যবহার করা।

৮। মোবাইলের জন্য পানি অতি বিপজ্জনক। তাই কোনোভাবেই যেন সেটে পানি না লাগে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বৃষ্টির দিনে বাইরে বেরুনোর সময় সেটটি ওয়াটার প্রুফ ব্যাগ কিংবা কাগজের ভেতরে নিয়ে বের হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এ সময় কল আসলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রিসিভ না করে আশেপাশের কোনো ঘরে গিয়ে রিসিভ করাই উত্তম। এতে সেটটি থাকবে নিরাপদ ও শুষ্ক।

৯। মোবাইলে যদি পানি ঢুকেই যায় আর আপনার যদি মোবাইলের যন্ত্রপাতির ব্যাপারে কোন জ্ঞান না থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সেটটি কোন টেকনিশিয়ানের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে বিলম্ব করলে কিংবা না জেনে কোন ব্যবস্থা নিতে চাইলে সেটটির বড় ধরনের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

১০। সাধারণত বাচ্চারা মোবাইলের ব্যাপারে অতি উৎসাহী হয়ে থাকে। তাই সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে তারা যেন সেটটি ধরলেও হাত থেকে ফেলে দেয়া কিংবা অন্যকোনো প্রকার অঘটন ঘটানোর সুযোগ না পায়। তবে তাদেরকে কী টেপার সুযোগ না দেয়াই ভাল। 

১১। আপনি যদি আপনার প্রিয় সেটটি অনেকদিন ধরে ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনার উচিত হবে যতোটা সম্ভব কম টেপাটেপি করা বিশেষ করে অতিরিক্ত গেমস খেলার অভ্যাস মোটেই ভাল নয়। এতে আপনার আদরের সেটটি দুর্বল হয়ে যাবে অতি তাড়াতাড়ি।

১২। সেট নিয়ে যখন আপনি গাড়িতে চড়বেন। তখন সেটি ব্যাগে না রাখাই ভাল। ব্যাগে রাখলে হ্যাঁচকা ঝাঁকুনিতে যে কোনো সময় আপনার সেটটি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

১৩। দামী সেটতো বটেই, অন্য যেকোনো মূল্যমানের সেট নিয়েই রাতে পথচলা উচিত নয়। কারণ আজকাল ছিনতাইকারীদের বিশেষ নজর থাকে পথচারীর মোবাইলে সেটের প্রতি।

১৪। মোবাইল সেট হাতে নিলেই যদি আপনার যে কারো নাম্বারে মিসকল দেয়ার বদঅভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে যতো দ্রুত সম্ভব এই অভ্যাস পরিত্যাগ করা উচিত। এতে আপনার সেটের উপর টেপাটেপি অনেকাংশে কমে আসবে। আপনার সেট থাকবে অনেক দিন ধরে সবল এবং কার্যকর।

১৫। আপনার প্রিয় মোবাইল ফোনটির চার্জার ও সেট সবসময় অভিন্ন ব্যবহার করা উচিত।

১৬।মোবাইল ফোনের সেটের জন্য অন্য মোবাইল ফোনের চার্জার ব্যবহার করা ঠিক না।

১৭। আপনার মোবাইল ফোনটির ঐ নির্দিষ্ট কোম্পানীর ব্যাটারি ব্যবহার করা উচিত ।

১৮। দিনে একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনার মোবাইল ফোনটির চাজিং সময় নির্ধারন করুন ও চার্জ দিন।

১৯। মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে স্ক্রিনে আপনার ফোনটি চার্জ হচ্ছে কিনা তা প্রদর্শন করছে কিনা ভালভাবে লক্ষ্য করুন।

২০। মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করতে গিয়ে যদি আপনার হাত থেকে পড়ে যায় তাহলে সাথে সাথে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করুন এবং আবার তা চালু করুন।

২১। কোন কারণে যদি আপনার মোবাইল ফোন পানিতে ভিজে যায় তাহলে বুঝা মাত্রই মোবাইল ফোন সেট থেকে ব্যাটারি আলাদা করে নিন এবং সূর্যের তাপে শুকিয়ে নিন। যত তারাতাড়ি সম্ভব মোবাইল সার্ভিশিং কেন্দ্রে নিয়ে যান।

 

পেনড্রাইভের নানা ব্যবহার

 

 

পেনড্রাইভ একটি পোর্টেবল ইউএসবি মেমোরি ডিভাইস। এটি দিয়ে খুব দ্রুত ফাইল, অডিও, ভিডিও, সফটওয়্যার এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ট্রান্সফার করা যায়। এই ডিভাইসটি এতই ছোট যে, যেকেউ পকেটে বা ব্যাগে করে সহজে বহন করতে পারেন এবং মূল্যবান তথ্য সবসময় পেনড্রাইভে রেখে ব্যবহার করেন। পেনড্রাইভ বর্তমানে অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। আর এই পেনড্রাইভ দৈনন্দিন জীবনে একটি বড় অংশ হিসেবে কাজ করছে, যা আমাদের ছোট পোর্টেবল হার্ডডিস্কের সুবিধা দিয়ে থাকে। যারা নিয়মিত কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন বা যাদের দরকারি ফাইল সবসময় প্রয়োজন হয় তাদের অনেকেই পেনড্রাইভ ব্যবহার করে থাকেন। পেনড্রাইভ দিয়ে শুধু তথ্য আদান-প্রদানই নয়, এর বাইরের অনেক কাজেও ব্যবহার করা যায়। তাই এবারের লেখায় পেনড্রাইভের নানাবিধ সুবিধা ও ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

পোর্টেবল অ্যাপ্লিকেশন

অনেককেই বিভিন্ন কাজে বাইরে ভিন্ন পরিবেশের কম্পি উটারে কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ভিন্ন পরিবেশের কম্পিউটারের অ্যাপ্লিকেশন বা টুলগুলো অনেক অচেনা মনে হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি পোর্টেবল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন। বেশ কয়েক সংখ্যা আগে পোর্টেবল অ্যাপ্লিকেশনের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছিল। এই পোর্টেবল অ্যাপ্লিকেশনের কাজ হচ্ছে এটি এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন, যার ভেতর অনেক ধরনের টুল বিল্টইন অবস্থায় থাকে। যেমন : এন্টিভাইরাস, ওপেন অফিস, ইনস্ট্যান্ট মেসেঞ্জার, ফায়ারফক্স, গেমস, ভিডিও-অডিও প্লেয়ারসহ বেশ কয়েক ধরনের টুল। এই টুলগুলো আপনার পেনড্রাইভে নিয়ে যেকোনো কম্পি উটারে বসে পেনড্রাইভ থেকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনাকে পরিবেশ ভিন্ন হওয়ার পরও অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে অচেনা মনে হবে না।

পেনড্রাইভ দিয়ে লগইন-লগআউট

ইউজার সিকিউরিটি বর্তমানে একটি প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে অনেকেই কম্পিউটারের লগইন পাসওয়ার্ডকে সিকিউর ভাবেন না, কারণ হ্যাকারদের কাছে কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড বের করা তেমন কষ্টকর নয়। সেক্ষেত্রে পেনড্রাইভ দিয়ে এর সিকিউরিটি দেয়া সম্ভব। বর্তমানে অনেক ফ্ল্যাশড্রাইভ বা পেনড্রাইভের সঙ্গে সফটওয়্যার আসছে, যা দিয়ে লগইন-লগআউট অপশন সেট করা যায়। Blue Micro USB Flash Drive Logon এমন একটি থার্ড পার্টি সফটওয়্যার, যা আপনাকে ওপরের সুবিধাটি দিতে পারে। এই সফটওয়্যারের ব্যবহার দিয়ে আপনার পেনড্রাইভকে কম্পিউটারের জন্য একটি চাবি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন ধরুন আপনি কম্পিউটারে লগইন করতে চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট পেনড্রাইভ ইউএসবি পোর্টে সংযোগ এবং কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। পেনড্রাইভ ছাড়া কম্পিউটারে লগইন করতে পারবেন না। এই পদ্ধতি যেমনি সিকিউরিটি বাড়িয়েছে, তেমনি একটি সমস্যাও রয়েছে। কোনো কারণে পেনড্রাইভটি হারিয়ে গেলে আপনি নিজেই কম্পিউটারে লগইন করতে পারবেন না।

ক্যাস বাড়াতে পেনড্রাইভ

কিছু প্লাগইন আপনার কম্পিউটারের স্পিড বাড়াতে সক্ষম হবে। Windows Ready Boost নামে একটি ফিচার রয়েছে, যা উইন্ডোজ ভিসতাতে কাজ করে এবং উইন্ডোজ এক্সপির জন্য রয়েছে eBoostrer। অনেক ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের র্যমের সাইজ কম থাকে। যার ফলে কম্পিউটারের স্পিড কমে যায়। কম্পিউটারের স্পিড বাড়ানোর জন্য পেনড্রাইভ ব্যবহার করতে পারেন। আপনার পেনড্রাইভটি ইউএসবি পোর্টে যুক্ত করুন। নরমাল কম্পিউটারে উইন্ডোজের মেমরির পেজ ফাইল সি ড্রাইভে সেভ হয়ে থাকে। আপনি তা পরিবর্তন করে পেনড্রাইভের লোকেশন দেখিয়ে দিতে পারেন। এতে পেজ ফাইলের স্টোরের সাইজের পরিমাণ বাড়বে।

এনক্রিপটেড ডাটা

আপনার ব্যবহারের সব ফাইল, ফোল্ডারকে পেনড্রাইভে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন এবং ভিন্ন পরিবেশের কম্পিউটারে ব্যবহার করছেন। অনেক সময় আপনার খুব পার্সোনাল ফাইল বা পাসওয়ার্ডগুলোর তথ্য পেনড্রাইভে থাকতে পারে। কিন্তু যদি কোনো কারণে পেনড্রাইভটি হারিয়ে যায়, তাহলে আপনার পার্সোনাল তথ্যগুলো অন্যের কাছে চলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার পার্সোনাল ডাটাগুলোকে এনক্রিপটেড করে রাখতে পারেন। এনক্রিপটেড করার জন্য True Crypt, Dekart Private Disk Light টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এনক্রিপ্ট করার আগে এর ব্যবহারবিধি পড়ে নেবেন।

সিস্টেম অ্যাডমিনের ড্রাইভার

অনেক সিস্টেম অ্যাডমিন রয়েছে, যাদের কম্পিউটারে নিয়মিত ড্রাইভার আপডেট বা ইনস্টল করতে হয়। সেক্ষেত্রে ড্রাইভারগুলোকে এক্সটারনাল হার্ডডিস্কে সেভ করে নিয়ে কাজ করে থাকেন অথবা সিডি বা ডিভিডিতে রাইট করে নিয়ে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু ড্রাইভারগুলোকে পেনড্রাইভের একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডারে রেখে ব্যবহার করা হয় তাহলে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। যেমন : পেনড্রাইভ ওজনে হালকা হওয়াতে সব সময় এটি বহন করা যাবে এবং বিভিন্ন ড্রাইভের আপডেট বের হলে তা পেনড্রাইভে খুব সহজে আপডেট এবং ব্যবহার করা যাবে।

পোর্টেবল অপারেটিং সিস্টেম

বর্তমানে পোর্টেবল অ্যাপ্লিকেশনের পাশাপাশি পোর্টেবল অপারেটিং সিস্টেম বের হয়েছে। অনেকেই আছেন, যারা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের পাশাপাশি লিনআক্স ব্যবহার করতে চাচ্ছেন, কিন্তু পার্টিশনের ভয়ে লিনআক্স ব্যবহার করতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে পেনড্রাইভে পোর্টেবল লিনআক্সকে নিয়ে খুব সহজে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় ফাইলগুলোকে পোর্টেবল অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভিন্ন পরিবেশে কম্পিউটার ব্যবহার করতে গেলে কম্পিউটারের ব্যবহারবিধির ওপর অনেক রেস্ট্রিকশন থাকে। সেক্ষেত্রে পোর্টেবল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনাকে কোনো রেস্ট্রিকশনের ভেতর থাকতে হবে না। কোনো বন্ধুর কম্পিউটার ব্যবহার করতে চাচ্ছেন, কিন্তু তার কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত, সেক্ষেত্রে পোর্টেবল অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে আপনি কম্পিউটারটি ব্যবহার করতে পারবেন এবং আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের ভাইরাসগুলোকে রিমুভ করতে পারবেন। বেশ কিছু পোর্টেবল অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে Knoppix, DamnSmall Linux, Puppy Linux, Linux Mint ইত্যাদি।

রিকোভারি এনভায়রনমেন্ট

উইন্ডোজ এক্সপি অনেকেই ব্যবহার করেন কিন্তু ভাইরাসের কারণে অনেক সময় ফাইল মিসিং হয় এবং ফাইল বা ডিএলএল মিসিংয়ের কারণে অনেক সময় কম্পিউটার অন হয় না। সেক্ষেত্রে নতুন করে উইন্ডোজ সেটআপ দিয়ে থাকেন। কিন্তু পেনড্রাইভ দিয়ে আপনি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। উইন্ডোজ এক্সপির রিকোভারি করার ফাইলগুলো পেনড্রাইভে নিয়ে খুব সহজে এক্সপি রিকোভারি অপশন থেকে রিকোভার করে নিতে পারেন। Bartpe এমন একটি গ্রাফিক্যাল রিকোভারি টুল।

 

 

 

গুগল থেকে এসএমএস পাঠান

 

আমরা এসএমএসের গুরুত্ব নিশ্চয়ই বুঝি, ই-মেইল কবে না কবে পড়বে, তবে জানবে খবর। প্রবাসী যাদের আপনার প্রায়ই প্রয়োজন হয় তাদের গুগল থেকে মেসেজ দিতে পারেন, তবে সমস্যা হলো প্রতিজনের জন্য আলাদা ই-মেইল অ্যাকাউন্ট লাগবে ও মেসেজ পাবে ১০-৩০ মিনিট পর, এবং বড় ঝামেলা হলো তার মোবাইল কোম্পানিটি গুগলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কিনা। বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটর ‘রবি’ এবং বাংলালিংক  এই সুবিধাটি দিচ্ছে, অন্য অপারেটরের কথা আমি জানি না । একটু কূটকৌশলে গুগলের ক্যালেন্ডার সার্ভসকে এই এসএমএসের বাহক তৈরি করে নিয়েছি আমি।

পদ্ধতি :

১. যাকে পাঠাতে চান তার মোবাইল নম্বরটা গুগলের ক্যালেন্ডার সার্ভিস সাপোর্ট করে কিনা, গুগলের ক্যালেন্ডার সেটিংস/হেল্প থেকে জেনে নিন।

২. তার নামে একটি neural network খুলুন, এর সঙ্গে সঙ্গে আপনি গুগলের ক্যালেন্ডার সার্ভিস পাবেন ফ্রি।

৩. ক্যালেন্ডার সেটিংস থেকে মোবাইলকে আইডেনটিফাই ও সার্ভিস অ্যাকটিভ করার জন্য একটি কোড আপনার কাঙ্ক্ষিত জনের কাছে যাবে, তাকে ই-মেইলে বা অন্য কোনো উপায়ে গুগল থেকে পাওয়া কোড নম্বরটি আপনাকে পাঠাতে বলুন এবং কোডটি পাওয়ার পর মোবাইল ভেরিফিকেশন সেকশনে নির্দিষ্ট ঘরটিতে নম্বরটি বসিয়ে সেভ করুন।

৪. ক্যালেন্ডারের রিমাইন্ডার দেয়ার সেটিংসগুলো ঠিক করুন, এখানে ৫ মিনিট আগে রিমাইন্ড দেয়ারও সুযোগ আছে, জরুরি হলে তাই সেট করুন। দিন তারিখ সময় ঠিক করে, মেসেজ অংশে আপনার বক্তব্য উল্লেখ করে সেভ করুন, ব্যস হয়ে গেল।

৫. পরে যখনই তাকে মেসেজ দেয়া প্রয়োজন হবে তার জন্য খোলা আপনার সেই জি-মেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করে তার ক্যালেন্ডার সার্ভিসে চলে যান এবং মেসেজ পাঠাতে থাকুন।
একটু ঝামেলা থাকলেও ফ্রি এসএমএসের চার্জ/ফ্রি টাইম/ ক্রেডিট ইত্যাদির ঝামেলা নেই। যেহেতু রিমাইন্ডার সার্ভিস নিয়মিত কাউকে মেসেজ দিতে চাইলে এর বিকল্প নেই, এক মেসেজ সে যতবার খুশি পাঠাবে।

 
 

রোবট যেভাবে কাজ করে

 

রোবট কীভাবে কাজ করে, আমরা অনেকেই জানি না। আসুন জেনে নিই রোবটের কর্মপদ্ধতি। আপনি রোবটকে বললেন, যাও আমার জন্য এক গ্লাস পানি নিয়ে এসো। আর রোবটটি আপনার কথামত আপনাকে খাবার ঘর থেকে একটি গ্লাস নিয়ে সেই গ্লাসে জগ থেকে পানি ঢেলে আপনার শোয়ার ঘরে নিয়ে আসবে।

এই পানি আনার পদ্ধতিকে প্রযুক্তির ভাষায় বলা হয় algorithm. সোজা কথায় একটি কাজকে ভেঙে ছোট ছোট অংশে ভাগ করা যা কিনা যন্ত্রের বুঝতে সুবিধা হয়, এটিকেই algorithm বলে। সাধারণত এই কাজটি কম্পিউটার নিজে নিজে করতে পারে না আর রোবট নিজে নিজে করতে পারে। কম্পিউটারের algorithm করে দেয় একজন প্রোগ্রামার। রোবটকে চালাতে কি তাহলে কোনো প্রোগ্রামের প্রয়োজন নেই? এ প্রশ্নের উত্তর হলো, অবশ্যই আছে এবং সেই প্রোগ্রামিংয়ের নাম n neural network. এই প্রোগ্রামিংয়ের বিশেষত্ব হলো, এর মাধ্যমে কোন যন্ত্রকে মানুষের মস্তিষ্কের মতো কাজ করানো হয়। যেমন ছোটকালে আমাদের চেনানো হতো বিভিন্ন আসবাবপত্র, বই, অক্ষর ইত্যাদি। neural network-এর মাধ্যমে রোবট কোনো চিত্রকে শনাক্ত করতে পারে এবং সেই অনুসারে কাজ করতে পারে। যারা যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্র তারা শেষ বর্ষে হয়তো রোবটিক্স সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর যদি আপনি স্নাতক ডিগ্রি নিতে চান তাহলে neural network সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

 

সূত্র: পত্রিকা

 

জমজম কূপের বিশেষত্ব

জমজম কূপের বিশেষত্ব


১৯৭১ সালে একজন মিসরীয় ডাক্তার ইউরোপীয় একটি পত্রিকায় লিখেছিলেন, জমজমের পানি মানুষের স্বাস্থ্য উপযোগী নয়। তার যুক্তি ছিল, কাবা শরিফে অবস্থিত জমজম কূপটি মক্কা শহরের কেন্দ্রে ও সমুদ্র সমতল (ঝপথ লপংপল) থেকে নিচে অবস্থিত। ফলে শহরের সব ময়লা পানি কূপের দিকে ধাবিত হয়। এতে কূপের পানি বিশুদ্ধ থাকতে পারে না। বাদশাহ ফয়সল সংবাদটি জেনে সৌদি কৃষি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে জমজমের পানির বিশুদ্ধতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং এর নমুনা ইউরোপীয় ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেন। ওই মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রের পানি থেকে পানযোগ্য পানি উৎপাদনকাজে নিয়োজিত রসায়ন প্রকৌশলী তারিক হুসাইনকে এ ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি তার তদন্ত প্রতিবেদনে বর্ণনা করেছেনঃ জমজম কূপটি প্রায় ১৮ী১৪ ফুট। একজন ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি মানুষকে কূপে নামানো হলে তার কাঁধ পর্যন্ত ডুবে যায়। সম্পূর্ণ কূপ হাঁটলেও তার মাথা কখনো ডুবে যায়নি। কূপের মধ্যে কোনো পাইপ বা ছিদ্র নেই। আরো সুস্পষ্ট অনুসন্ধানের জন্য তিনি একটি শক্তিশালী পাম্পের সাহায্যে কূপের সব পানি দ্রুত সেচে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু প্রথমে কিছুই খঁুজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে তিনি আবিষ্কার করেন যে, সেচের ফলে কূপের পানি যখন কমে আসে তখন পায়ের নিচের বালু নাচতে থাকে। তিনি বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়েন। পায়ের নিচের বালু চুইয়ে পানি ওঠে। এরপর জমজমের নমুনা পরীক্ষার জন্য ইউরোপের গবেষণাগারে পাঠানো হয় পানি। মক্কা থেকে ফিরে আসার আগে তিনি স্থানীয় প্রশাসকের সাথে কথা বলেন। তারা জানান, মক্কার আশপাশে কয়েকটি কূপ রয়েছে। যেগুলোর বেশির ভাগই শুকনো। অন্যগুলোও মাঝে মাঝে শুকিয়ে যায়। কিন্তু জমজম কূপ কখনোই শুকায় না। জমজমের পানির নমুনা সৌদি ও ইউরোপীয় গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় এবং একই ফল পাওয়া যায়। জমজমের পানির মধ্যে সাধারণ পানির তুলনায় ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সামান্য বেশি। এ কারণেই হয়তো পরিশ্রান্ত হাজী সাহেবদের জমজমের পানি সতেজ ও সজীব করে তোলে। কিন্তু এর চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, জমজমের পানিতে রয়েছে ফ্লোরাইড (Flouride)। ফ্লোরাইডের রয়েছে জীবাণুনাশক ক্ষমতা। ইউরোপীয় গবেষণাগার থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, জমজমের পানি পানের সম্পূর্ণ উপযুক্ত।