১। ‘যাহারা ঈমান আনয়ন করে ও সৎকর্ম করে তাহাদিগকে শুভ সংবাদ দাও যে, তাহাদের জন্য রহিয়াছে জান্নাত, যাহার নিন্মদেশে নদী প্রবাহিত। যখনই তাহাদিগকে ফল-মূল খাইতে দেওয়া হইবে তখনই তাহারা বলিবে, ‘আমাদিগকে পূর্বে জীবিকারূপে যাহা দেওয়া হইত ইহাতো তাহাই; তাহাদিগকে অনুরূপ ফলই দেওয়া হইবে এবং সেখানে তাহাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী রহিয়াছে, তাহারা সেখানে স্থায়ী হইবে।’ (২:২৫)
২। ”স্মরণ কর, যখন ইসরাঈল-সন্তানদের অঙ্গীকার নিয়াছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাহারও ইবাদত করিবে না, মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন ও দরিদ্রদের প্রতি সদয় ব্যবহার করিবে এবং মানুষের সহিত সদালাপ করিবে, সালাত কায়েম করিবে ও যাকাত দিবে, কিন্তু স্বল্পসংখ্যক লোক ব্যতীত তোমরা বিরুদ্ধভাবাপন্ন হইয়া মুখ ফিরাইয়া লইয়াছিলে।” (২:৮৩)
৩।’এবং সুলায়মানের রাজত্বে শয়তানগণ যাহা আবৃত্তি করিত তাহারা তাহা অনুসরণ করিত। সুলায়মান সত্য প্রত্যাখ্যান করে নাই, কিন্তু শয়তানগণই কুফরী করিয়াছিল। তাহারা মানুষকে যাদু শিক্ষা দিত এবং যাহা বাবেল শহরে হারূত ও মারূত ফিরিশতাদ্বয়ের উপর অবতীর্ণ হইয়াছিল। তাহারা কাহাকেও শিক্ষা দিত না এই কথা না বলিয়া যে, ‘আমরা পরীক্ষা স্বরূপ; সুতরাং তোমরা কুফরী করিও না।’ তাহারা তাহাদের নিকট হইতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যাহা বিচ্ছেদ সৃষ্টি করে তাহা শিক্ষা করিত, অথচ আলস্নাহর নির্দেশ ব্যতীত তাহারা কাহারও কোন ক্ষতি সাধন করিতে পারিত না। তাহারা যাহা শিক্ষা করিত তাহা তাহাদের ক্ষতি সাধন করিত এবং কোন উপকারে আসিত না; আর তাহারা নিশ্চিতভাবে জানিত যে, যে কেহ উহা ক্রয় করে পরকালে তাহার কোন অংশ নাই। উহা কত নিকৃষ্ট যাহার বিনিময়ে তাহারা স্বীয় আত্মাকে বিক্রয় করিয়াছে, যদি তাহারা জানিত।’ (২:১০২)
৪। তোমাদের মধ্যে কাহারও মৃতু্যকাল উপস্থিত হইলে সে যদি ধন-সম্পত্তি রাখিয়া যায় তবে ন্যায়ানুগ প্রথামত তাহার পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য ওসীয়ত করার বিধান তোমাদিগকে দেওয়া হইল। ইহা মুত্তাকীদের জন্য একটি কর্তব্য। (২:১৮০)
৫। তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্য-ক্ষেত্র অতএব তোমরা তোমাদের শস্য-ক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন করিতে পার। পূর্বাহ্নে তোমরা তোমাদের জন্য কিছু করিও এবং আলস্নাহকে ভয় করিও। আর জানিয়া রাখিও যে, তোমরা আল্লাহর সম্মুখীন হইতে যাইতেছ এবং মুমিনগণকে সুসংবাদ দাও। (২:২২৩)
৬। যাহারা স্ত্রীর সহিত সংগত না হওয়ার শপথ করে তাহারা চার মাস অপেক্ষা করিবে। অতঃপর যদি তাহারা প্রত্যাগত হয় তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (২:২২৬)
৭। আর যদি তাহারা তালাক দেওয়ার সংকল্প করে তবে আলস্নাহ্ সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ। (২:২২৭)
৮। তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী তিন রজঃস্রাব কাল প্রতীক্ষায় থাকিবে। তাহারা আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাসী হইলে তাহাদের গর্ভাশয়ে আল্লাহ যাহা সৃষ্টি করিয়াছেন তাহা গোপন রাখা তাহাদের পক্ষে বৈধ নহে। যদি তাহারা আপোষ-নিষ্পত্তি করিতে চায় তবে উহাতে তাহাদের পুনঃগ্রহণে তাহাদের স্বামীগণ অধিক হকদার। নারীদের তেমনি ন্যায়সংগত অধিকার আছে যেমন আছে তাহাদের উপর পুরুষদের; কিন্তু নারীদের উপর পুরুষদের মর্যাদা আছে। আলস্নাহ্ মহা-পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (২:২২৮)
৯। এই তালাক দুইবার। অতঃপর স্ত্রীকে হয় বিধিমত রাখিয়া দিবে অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করিয়া দিবে। তোমরা তোমাদের স্ত্রীকে যাহা প্রদান করিয়াছ তন্মধ্য হইতে কোন কিছু গ্রহণ করা তোমাদের পক্ষে বৈধ নহে, অবশ্য যদি তাহাদের উভয়ের আশংকা হয় যে, তাহারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করিয়া চালিতে পারিবে না এবং তোমরা যদি আশংকা কর যে, তাহারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করিয়া চলিতে পারিবে না, তবে স্ত্রী কোন কিছুর বিনিময়ে নিষ্কৃতি পাইতে চাহিলে তাহাতে তাহাদের কাহারও কোন অপরাধ নাই। এই সব আল্লাহর সীমারেখা। তোমরা উহা লংঘন করিও না। যাহারা এই সব সীমারেখা লংঘন করে তাহারাই জালিম। (২:২২৯)
১০। অতঃপর যদি সে তাহাকে তালাক দেয় তবে সে তাহার জন্য বৈধ হইবে না, যে পর্যন্ত সে অন্য স্বামীর সহিত সংগত না হইবে। অতঃপর সে যদি তাহাকে তালাক দেয় আর তাহারা উভয়ে মনে করে যে, তাহারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করিতে সমর্থ হইবে, তবে তাহারা পুনর্মিলনে কাহারও কোন অপরাধ হইবে না। এইগুলি আল্লাহর সীমারেখা, জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহ ইহা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন। (২:২৩০)
Advertisements