বাসে ওঠা
বাবার সঙ্গে ছেলের কথা হচ্ছিল-
ছেলেঃ বাবা, আজ একটা ভালো কাজ করেছি।
বাবাঃ কি কাজ সোহরাব?
ছেলেঃ পাশের বাড়ির ওই মোটা ভদ্রলোককে বাসে উঠতে সহায়তা করেছি।
বাবাঃ তাই নাকি! কি করে?
ছেলেঃ প্রতিদিনের মতো আজও রাস্তা দিয়ে সে হেলেদুলে হেঁটে যাচ্ছিল। আমি একটা কুকুর তার পেছনে লেলিয়ে দিলাম। ব্যাস, লোকটা এমন দৌড় দিলেন যে চলন্ত বাসে সবার আগেই উঠে গেলেন।
পকেটমার
দামি পোশাক পরা এক ভদ্রলোকের পকেটে এক পকেটমার হাত দিলেন। ভদ্রলোক পকেটমারকে ধরে ফেললেন –
ভদ্রলোকঃ ছিঃ তোমার লজ্জা করে না? আমার পকেটে হাত ঢুকিয়েছ? আমি তোমাকে পুলিশে দেব।
পকেটমারঃ স্যার, লজ্জা তো আপনার হওয়া উচিত। এমন দামি পোশাক পড়ে আছেন, অথচ পকেটে একটি টাকাও নেই।
বিমান
দুই বোকার মধ্যে কথা হচ্ছে-
তারেকঃ তুই কি জানিস, ছোটবেলায় আমি একবার বাবার সঙ্গে বিমানে উঠে পরে গিয়েছিলাম।
টিটুঃ তাই নাকি? তুই কি তখন মরে গিয়েছিলি?
তারেকঃ আরে না, মরে গেলে কি তোকে আজ এ কথা জানাতে পারতাম।
দুই বন্ধু
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে
১ম বন্ধুঃ তুই আমার বাড়িতে মাসখানিক আছিস, তোর পরিবার চিন্তা করবে না?
২য় বন্ধুঃ তা আবার করবে না।
আজই চিঠি লিখে সবাইকে তোর বাসায় আসতে বলব।
রান্না
স্বামী তার স্ত্রীকে খুশি করার জন্য একদিন রান্না করার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু তিনি তা করতে পারছেন না। এক পর্যায়ে স্বামীর রেসিপির ডিরেকশন অনুযায়ীই তো রান্না করছি, কিন্তু রান্না হচ্ছে না কেন?
স্ত্রীঃ রান্না হবে কি করে? তুমি তো আগুনই জ্বালাওনি।
স্বামীঃ কিন্তু এটা তো রেসিপিতে লেখা নেই। +
ছাত্র-শিক্ষক
স্কুলে দুই ছাত্র মারামারি করছে। তা দেখে শিক্ষক-
মারামারি কর না। তোমরা শিখবে বন্ধুত্ব। আগে দেবে, পরে নেবে।
ছাত্রঃ আপনি বলার আগেই আমি তা করেছি স্যার। ওকে প্রথমে একটা ঘুষি দিয়েছি। তারপর ওর লাথিটা আমি নিয়েছি।
ছাত্র-শিক্ষক
বার্ষিক পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর-
প্রধান শিক্ষকঃ আশা করি ভবিষ্যতেও তুমিই প্রথম হবে।
ছাত্রঃ আমিও আশা করি, এবারের মতো আগামী বছরও আপনি আমার দুলাভাইয়ের প্রেসে প্রশ্নপত্র ছাপাবেন।
ব্যর্থ প্রেমিক
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা চলছে-
১ম বন্ধুঃ আচ্ছা বন্ধু, ব্যর্থ প্রেমিক বলতে কি বুঝিস।
২য় বন্ধুঃ তোর কথাই ধর। তুই যাকে পছন্দ করতিস সেই মেয়ে এখন আমার স্ত্রী।
স্বামীর কাছে আক্ষেপ করে স্ত্রী বলছে-
:তুমি তো আমার দুঃখ কিছুই বুঝলে না। আমি নীরবে মাসের পর মাস তোমার সংসারের সব যন্ত্রণা সহ্য করে যাচ্ছি।
:নীরবে? তাহলে ফোনে এত বিল উঠল কী করে, শুনি?
সিনেমা
সিনেমা হলে সামনের সিটে নব দম্পতি্ কেবল বকবক করেই যাচ্ছিল। পেছনের সিটের ভদ্রলোক অনেকক্ষণ উসখুস করে অবশেষে বললেন-
:মাফ করবেন, আমি কিন্তু একটা কথাও শুনতে পাচ্ছি না।
স্বামীটি তখন রেগে গিয়ে বললেন-
:আমাদের স্বামীর-স্ত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে। আপনার আবার শোনার কী আছে সাহেব?
জীববিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষক এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন-
শিক্ষকঃ মিঠু, বল তো, হাসপাতালে ডাক্তাররা যখন কোনো রোগীর অপারেশন করেন, তখন ডাক্তাররা নিজেদের মাথা-মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকেন কেন?
ছাত্রঃ অপারেশনের সময় কোনো ভুল-ত্রুটি করে ফেললে রোগী যাতে কোনো অবস্থাতেই বুঝতে না পারে, কোন ডাক্তার এটা করেছেন- সেই জন্য স্যার!
আমি ডেকে দিচ্ছি
এক লোক তার এক পরিচিতের কাছে কিছু টাকা পাবেন। কিন্তু বাসায় এসে তাকে পান না। এবার একটু কৌশলের আশ্রয় নিয়ে অনেকক্ষণ কলিংবেল চাপলেন। বের হলেন এক ভদ্রমহিলা।
ভদ্রমহিলাঃ কী চাই?
আগন্তুকঃ আপনার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। উনি কি বাসায় আছেন?
ভদ্রমহিলাঃ কেন, বলুন তো?
আগন্তুকঃ না, মানে সামান্য কিছু টাকা•••
ভদ্রমহিলাঃ ও তো বাসায় নেই। গতকাল বিকেলে মেয়ের বাসায় বেড়াতে গেছে।
আগন্তুকঃ মানে, ওনার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলাম তো, সেটা শোধ করতে এসেছিলাম•••
ভদ্রমহিলাঃ ও! তাই, কাল মেয়ের বাসায় ও গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু রাতেই আবার চলে এসেছে। আপনি বসুন, আমি ডেকে দিচ্ছি।
টিয়া পাখি
১ম বন্ধুঃ তোকে যে টিয়া পাখি পাঠিয়েছিলাম, সেটা কেমন লাগল?
২য় বন্ধুঃ দারম্নন সু-স্বাদু ছিল।
১ম বন্ধুঃ বলিস কি? আমি ওটা ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। ওটা ৭টা ভাষায় কথা বলতে পারত
২য় বন্ধুঃ তাহলে জবাই করার সময় কিছু বলল না কেন?
নিহত
১ম ব্যক্তিঃ ছয় তলা থেকে দু’জন ব্যক্তি পড়ে গেল, কিন্তু কেউই আহত হল না!
২য় ব্যক্তিঃ এও কী সম্ভব!
১ম ব্যক্তিঃ সম্ভব, কারণ তারা দু’জন নিহত হয়েছিল।
চামড়া
ছোটকাঃ আচ্ছা মোটকা, হরিণের চামড়া তো দেখেছিস, কিন্তু হাতির চামড়া দেখাতে পারবি?
মোটকাঃ কেন পারব না!
ছোটকাঃ সে কী! কোথায়?
মোটকাঃ কেন, চিড়িয়াখানায়, হাতির গায়ে।
Advertisements