RSS

আল কুরআনে তাবলীগের ফজিলত

04 ফেব্রু.

তাবলীগ অর্থ প্রচার করা, ইসলামের দাওয়াত দেওয়া। গুটিকয়েক লোক যারা ইসলামের দাওয়াত দেয়ার উদ্দেশ্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বাণী প্রচার করেন। তাদের এই দলবদ্ধ কার্যক্রমকে তাবলীগ বলে। আলস্নাহ তায়ালা তাবলীগের কাজটি ব্যক্তিগতভাবে, সমষ্টিগতভাবে সবার ওপর ফরয করে দিয়েছেন। তাবলীগের ফযীলত ও উৎসাহ প্রদান সম্পর্কে বহু আয়াত এবং হাদীস নাযিল হয়েছে।

কতিপয় হাদীস নিচে তুলে ধরা হলোঃ

হে মুহাম্মদ! আপনি লোকদেরকে নসীহত করতে থাকুন, কেননা নসীহত মুমিনদেরকে ফায়দা পৌছাবে। (সূরা যারিয়াত, আয়াত: ৫৫)

হে মুহাম্মদ (স.)! আপনি আপনার পরিবার পরিজনকে নামাযের হুকুম করতে থাকুন এবং নিজেও তার পাবন্দি করুন। আমি আপনার নিকট রিযিক চাই না এবং রিযিক আপনাকে আমিই দিব আর উত্তম পরিণতি তো পরহেযগারীর জন্যই। (সূরা ত্বাহা, আয়াত: ১৩২)

তোমাদের মধ্য হতে একটি জামাত এমন হওয়া জরুরী; যারা মঙ্গলের দিকে আহবান করবে, সৎ কাজে আদেশ করবে ও অসৎ কাজে নিষেধ করবে তারাই পূর্ণ কামিয়াব হবে। (সূরা আল ইমরান, আয়াত: ১০৪)

সাধারণ লোকদের অধিকাংশ পরামর্শের মধ্যে কোনো খায়র (বরকত) নাই, তবে যারা দান-খয়রাত বা কোনো এক কাজ কিংবা মানুষের পরস্পর সংশোধনের জন্য উৎসাহ প্রদান করে (এবং এই তালীম ও তারগীবের জন্য গোপনে চেষ্টা-তদবীর ও পরামর্শ করে) তাদের পরামর্শের মধ্যে অবশ্যই খায়র (বরকত) আছে। আর যারা (ভাল কাজে উৎসাহ প্রদানের) এই কাজ (লোভ লালসা ও সুনাম অর্জনের উদ্দেশ্য ব্যতীত) শুধু আলস্নাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্যই করে, তাদেরকে আমি অতি সত্বর বিরাট পুরস্কার দান করবো। (সূরা নিসা, আয়াত: ১০৪) তোমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের (মঙ্গলের) জন্য তোমাদেরকে বাহির করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজে আদেশ করতে থাকো, অসৎ কাজ হতে নিষেধ করতে থাকো এবং আলস্নাহর ওপর ঈমান রাখো। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১১০)
তাবলীগের ফযীলত কতখানি তা বলে শেষ করা যাবে না। এই কাজ বিশেষভাবে গুরুত্ব সহকারে করতে হবে। যে বিষয় নিয়ে তাবলীগ করা হচ্ছে সে বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান আহরণ করে গুরুত্ব সহকারে এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে এই দ্বীনি কাজে শামিল করুন, আমীন।

 
 

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান